সুপার ফোরের পথে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলো বাংলাদেশ। লঙ্কানদের বিপক্ষে ব্যাটাররা দাঁড়াতেই পারল না। শুরুতেই ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় টাইগাররা। শেষ দিকে জাকের আলি ও শামিম হোসেনের লড়াইয়ে কিছুটা ভরসা মিললেও জয়ের জন্য তা যথেষ্ট হয়নি।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ শুরুর ব্যাটাররা। তানজিদ তামিম ও পারভেজ ইমন শূন্য রানে ফেরেন। লিটন দাস কিছুটা লড়লেও থামেন ২৮ রানে। ব্যর্থ হন শেখ মেহেদী ও তাওহীদ হৃদয়ও।
সঙ্কটময় সময়ে দলকে কিছুটা লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন জাকের আলি ও শামিম হোসেন। ষষ্ঠ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৮১ রানের জুটি গড়েন দুজন। শামিম ৩৪ বলে অপরাজিত ৪২ রান করেন, সমান সংখ্যক বল খেলে জাকের অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে। তবে তাদের এই জুটি শেষ পর্যন্ত কাজে লাগেনি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মোস্তাফিজের বলে কুশল মেন্ডিসকে হারালেও এরপর আর চাপ তৈরি করতে পারেনি টাইগাররা। পাথুম নিশাঙ্কা ও কামিল মিশারার ব্যাটে ভর করে এগিয়ে যায় লঙ্কানরা। দুজন মিলে মাত্র ৫২ বলে যোগ করেন ৯৫ রান। ৩৪ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করে নিশাঙ্কা আউট হলেও অপর প্রান্ত আগলে রাখেন মিশারা। তিনি শেষ পর্যন্ত ৩২ বলে অপরাজিত ৪৬ রানে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। লঙ্কানরা জয় পায় ৬ উইকেট হাতে রেখে এবং ৩২ বল বাকি থাকতেই।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন জাকের আলী (৩৪ বলে অপরাজিত ৪১) ও শামীম হোসেন (৩৪ বলে অপরাজিত ৪২)। লিটন দাস করেন ২৬ বলে ২৮ রান। ওপেনার তানজিদ হাসান ও পারভেজ ইমন শূন্য রানে ফিরলে শুরুতেই চাপে পড়ে দল।
টাইগারদের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন শেখ মেহেদী হাসান, নিয়েছেন ২ উইকেট। মোস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম সাকিব পেয়েছেন ১টি করে উইকেট।
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার হয়ে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা নিয়েছেন ২টি উইকেট, নুয়ান থুসারা ও দুশমন্থ চামিরা নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
এই হারে সুপার ফোরে জায়গা করে নেওয়ার পথে শঙ্কা তৈরি হলো বাংলাদেশের সামনে।